মহাভারত? সেরেচে! চাটুজ্জ্যের পো তো আর কালী সিঙ্গী নয় যে বাংলায় মহাভারত
লিখে সাড়া ফেলে দেবে। অথবা নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িও নয় যে মহাভারতের অজানা সব গপ্প
টপ্প শোনাবে। তার ওপর আমার বিদ্যেবুদ্ধির দৌড়ে, মহাভারত যদি লিখেও ফেলি, সেটা
সাকুল্লে দেড় পাতাতেই শেষ হবে। তবুও মহাভারত ধরে কেন টানাটানি করছি তার কারনটা
খুলে কই। ছোটোবেলায় স্কুলে পড়তে আমার বাবা একখানা অক্সফোর্ডের ম্যাপবই কিনে
দিয়েছিলো বইমেলা থেকে। আমার ভূগোলের বিদ্যে মন্দ নয়। অন্ততঃ আমার নিজের হিসেবে।
জীবনে প্রথম অধ্যায়ের মত সাদাসিধে, নিয়মনিষ্ঠ, ছকে বাঁধা নয়। যা ইচ্ছে তাই... যাচ্ছেতাই, এই আমার দ্বিতীয় অধ্যায়।
বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫
রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫
এক সন্ধ্যের গল্প
( লিখছি
তো
উদ্ভুট্টে
সিরিজ,
তাহলে
উদ্ভট
লিখবোনা
কেন? )
শীতের বিকেল বড্ড তাড়াতাড়ি শেষ হয়। আর চায়ের তেষ্টাও
পায় বেশী। ১৮৯৪ শকাব্দ শেষ হয়ে আসছে, আর মাত্র কয়েক দিন, তার পরেই ১৮৯৫ শকাব্দ
শুরু হবে। কিন্তু আজকাল ভারতে সরকারি শকাব্দ কেউই আর মনে রাখেনা। সাল জিজ্ঞেস করলে
১০০ জনে ১০০ জন ভারতীয়ই বলবে এটা ১৯৭২ সাল, মানে ১৯৭২ খ্রীষ্টাব্দ। আহমেদাবাদের
উপকণ্ঠের এই নতুন মহল্লায় সব বাড়ির বাসিন্দারাই বাড়ির সঙ্গে একটু করে বাগান
রেখেছেন। শেষ বিকেলের ঝিরি ঝিরি ঠান্ডা হাওয়া আসছে জানলা দিয়ে। গায়ে কাজকরা
কাশ্মিরি শালটা ভাল করে জড়িয়ে তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসলেন অধ্যাপক। সামনে চশমা চোখে
নবীন ছাত্রটিকে তাঁর বেশ পছন্দ। তার প্রশ্নের শেষ নেই। খুঁটিয়ে জানতে চায় সব কিছু।
বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
হাড়হিম হিমবাহ (রহস্য-রোমাঞ্চ সিরিজ)
আমার খুব ইচ্ছে, জীবৎকালে একটিবার, লালমোহনবাবুর মত একখানা রহস্য-রোমাঞ্চ
উপন্যাস লিখব। পারব না ভাবছেন? আরে দাদা, এই যে দর্জিপাড়া লেনের সেদিনের ছোকরা গিরিশ চাকলাদার। সে কিনা নিশাচর নাম নিয়ে ক্যাপটেন স্পার্ক আর র্যাক্সিট
সমেত রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস নামিয়ে দিতে পারল। আর আপনি আমার উচ্চাশা শুনে ......? নাহয় আমার
এডিশনও “তিন মাসেও কিস্যু হবেনা”। তবে খটকা অবিশ্যি একটা আছেই। ভাবছেন ফেলুদা থাকতে হঠাৎ জটায়ু কেন? একটু ভেবে দেখুন
দিকি। এই অধমের দ্বারা ফেলুদা হওয়া কি কখনো সম্ভব? মগজাস্ত্র অনেক দুরের কথা,
শিশুকাল থেকে আমার মগজের উপস্থিতি নিয়েই
অসংখ্যবার অসংখ্য মানুষ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ফেলুদা তো কোন ছার, তোপসের তুলনায়ও
আমি নেহাতই পানসে। কিন্তু লালমোহন গাঙ্গুলির সঙ্গে এই চাটুজ্যের অনেক মিল। কু-লোকে
বলে আমি নাকি কিঞ্চিত লাল, আবার এদিকে আমি মোহন(বাগান) ও বটে। যদিও উটে চড়ে আরব বেদুইন হবার কথা ভাবলে
রোমাঞ্চের বদলে তলপেটটা কেমন জানি ......। কিন্তু ইংরিজি
বলুন, সাধারন জ্ঞান বলুন (নর্থপোলে সিন্ধুঘোটক, বা উটের পাকস্থলি), গরম কচুরি
প্রেম বলুন, এই সব ব্যাপারে জটায়ুর সঙ্গে আমার যাহারপরনাই মিল রয়েছে।
রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
পদ্মপুকুরের পুঁটি ও আমাদের জুটি
তা সেই সোমবার ইশকুলে গেছি লাফাতে লাফাতে। বাবু মানির ছবি পকেটে করে নিয়ে গেছি। টিফিনের সময় বীরপূজো হবে। তখন আমি হাফ পেন্টুল। কিন্তু মোহনবাগান-ইষ্টবেঙ্গল-মহামেডান তো বটেই, এমন কি ফাগোয়াড়ার জেসিটি, জলন্ধরের বিএসএফ এমন কি ওরকে মিলস, সালগাওকার, মফৎলালের মত দলের প্রথম এগারোর নাম বলে দিতে পারি।
শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
সখী নীর ভরন ক্যায়সে যাউঁ ?
সখী নীর ভরন ক্যায়সে যাউঁ ?
সখীরি মোরি ডগর চলত মোসে করতহর
চঞ্চল চপল নটখট
মানতি নেহি কউ কি বাত
বিনতি করত ম্যাঁয় তো গেয়ি রে হার
সখী নীর ভরন ক্যায়সে যাউঁ?
রবিবার, ১২ জুলাই, ২০১৫
মেঘমুলুকে ঝাপসা পথে...
সোঁদা সোঁদা গন্ধ, ভিজে
ভিজে রাস্তা, ঝিম ঝিমে নিস্তব্ধতা আর গোল গোল চোখ নিয়ে দেখি ওই উঁচুতে মেঘের মধ্যে
থেকে বেরিয়ে এসেছে আস্ত একখানা আইফেল টাওয়ার। স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে আমার
জ্ঞানগম্যির উচ্চতা পেয়ারাগাছ পেরোয় না। পাথর বা ইঁটের তৈরি স্তম্ভ মানেই কলকাতা ময়দানের মনুমেন্ট
আর লোহা বা ইস্পাতের তৈরি উঁচুপানা কিছু দেখলেই আইফেল টাওয়ার, এর বাইরে অন্য কিছুর
তুলনা টানতে পারিনা। আর এখানা দেখতেও অনেকটা আইফেল টাওয়ারেরই মত। ইয়াব্বড় হাঁ করে
তাকিয়েছিলুম। গোটা দুয়েক সাহসী পাহাড়ি মাছি হাঁয়ের ভেতর ঢুকে সরেজমিনে দেখে নিয়ে আবার
উড়ে বেরিয়ে গেল। শেষে ভাঙ্গা রাস্তার ঝাঁকুনিতে চোয়াল বন্ধ হয়ে কটা কথা বেরিয়ে এল –
ওটা ওখানে উঠলো কি করে?
সোমবার, ২২ জুন, ২০১৫
তেরো
রাত এখন কোপার কোপে। যাঁরা জানেন, তাঁরা তো জানেনই। আর যাঁরা আমার মত, বুঝতে
না পারলে মুচকি মুচকি হাসেন, আর ভান করেন যেন সব বুঝেছেন, তাঁদের বলি, কোপা হলো
কোপা আমেরিকা। আমেরিকা কাপ। ফুটবলের আসর। লাতিন ফুটবলের ধুন্ধুমার লড়াই। গেল
হপ্তায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বার্সিলোনা – জুভেন্তাস ঘটে গেছে। শেষ রাতে সেই
নিয়ে ফোনে মেসেজ চালাচালি করতে গিয়ে দেখলুম, অনেক বড় বড় ফুটবলপ্রেমীই কেমন যেন আড়ো
আড়ো ছাড়োছাড়ো করছেন। সকালে বাসে অফিস যাবার সময় নিত্যযাত্রিদের জোরদার আলোচনায়
দেখলুম বার্সিলোনা, কোপা, এমন কি হিউমের আতলেতিকো কলকাতায় যোগদানের
আলোচনাও কেমন যেন ঝিমিয়ে। শেষে বলেই ফেললুম, হলোটা কি? কোপা তে
মেসি-নেইমার-সাঞ্চেজ-সুয়ারেজ, আর সবাই এত ঠান্ডা? হই হই করে উত্তর এলো – বেলো টা
চলে গেল যে, বল্লুও নাকি যাবে যাবে করছে...। অন্য দিক তাক করেই ছিলো, এবার দাগল –
তোদের সঞ্জয় সেন তো আছে রে ভাই, ওটাই আসল, কাতু-সোনি উপরি। ব্যাস। বুঝলুম ফুটবল
আছে ফুটবলেই। শুধু টিভির পাশে, পাশের মাঠের ছোঁয়ার আরো রঙিন হবার চেষ্টা চলছে
মাত্র।
শুক্রবার, ১৫ মে, ২০১৫
ফোকর এবং ফুড়ুত ২
মাঝরাতে দেখি ফোকরটা
খ্যাঁক খ্যাঁক করে খ্যাঁকশেয়ালের মত হাসছে। একেই গরমের চোটে পিত্তি চটকে চৌঁতিরিশ
হয়ে আছে, ঘুমের দফারফা, তার ওপরে বিটকেল গা জ্বালানে হাসি। এখনো ফোকরটা যে টিঁকে আছে,
সেটাই আশ্চয্যি। সেই ছোটোবেলায় আমাদের খেলার মাঠ, আর তার ধারে ইঁটের পাঁচিল, আর পাঁচিলের
গায়ে কাঠচাঁপা গাছের পেছনের সেই ফোকরটা। আমি খেলতে নেমে কিছু ছড়িয়ে ফেললেই খ্যাঁক
খ্যাঁক করে গা-জ্বালানি হাসতো আর টিটকিরি দিতো।
ধ্যাত্তেরিকা। উঠেই পড়লুম। ঘাড়ে মাথায় জল থাবড়ে, গলাতেও দু ঢোক ঢেলে ঘুমুতে এসে
দেখি আবার হাসছে। কি যন্তন্না মাইরি।
শনিবার, ৯ মে, ২০১৫
শেষ হয়েও ... (উদ্ভুট্টে সিরিজ)
[http://pnachforon.blogspot.in/ এ ৯ই মে ২০১৫ তে প্রকাশিত]
টেবিলের কোনায় পড়ন্ত বিকেলের একটুকরো রোদ এসে পড়েছে। দক্ষিন পূর্ব বাভারিয়ায় গ্রীষ্মের তুলনা হয়ত পৃথিবীর কোথাও নেই। ঝিরিঝিরে হাওয়া, নরম সোনালি রোদ। গাছের পাতা গুলো মনে হচ্ছে হালকা সবুজ মাখনের তৈরি, যেন আর একটু রোদ পেলেই গলতে শুরু করবে। এ অঞ্চলের লোকজন ভারি হাসিমুখ। একটু গাঁইয়া বটে, কিন্তু হাঁদা হবার সুবিধে আছে। যাই বোঝানো হোক, ঝটপট বুঝে যায়। বিংশ শতকের শুরু থেকেই জীবনের লয় দ্রুত হতে শুরু করেছে। এই ১৯৩৭ সালের কেজো পৃথিবীর সঙ্গে গত শতকের অভিজাত ধীরলয়ের জীবনের অনেক পার্থক্য। সে জীবনে গতি ছিলোনা বটে, কিন্তু আভিজাত্য ছিলো, চিন্তার খোরাক ছিলো, মাথা খাটাবার জায়গা ছিলো, সুক্ষতা ছিলো, শিল্পের ছোঁয়া ছিলো সব কিছুর মধ্যেই, এমনকি অপরাধ ও অনেক......।
টেবিলের কোনায় পড়ন্ত বিকেলের একটুকরো রোদ এসে পড়েছে। দক্ষিন পূর্ব বাভারিয়ায় গ্রীষ্মের তুলনা হয়ত পৃথিবীর কোথাও নেই। ঝিরিঝিরে হাওয়া, নরম সোনালি রোদ। গাছের পাতা গুলো মনে হচ্ছে হালকা সবুজ মাখনের তৈরি, যেন আর একটু রোদ পেলেই গলতে শুরু করবে। এ অঞ্চলের লোকজন ভারি হাসিমুখ। একটু গাঁইয়া বটে, কিন্তু হাঁদা হবার সুবিধে আছে। যাই বোঝানো হোক, ঝটপট বুঝে যায়। বিংশ শতকের শুরু থেকেই জীবনের লয় দ্রুত হতে শুরু করেছে। এই ১৯৩৭ সালের কেজো পৃথিবীর সঙ্গে গত শতকের অভিজাত ধীরলয়ের জীবনের অনেক পার্থক্য। সে জীবনে গতি ছিলোনা বটে, কিন্তু আভিজাত্য ছিলো, চিন্তার খোরাক ছিলো, মাথা খাটাবার জায়গা ছিলো, সুক্ষতা ছিলো, শিল্পের ছোঁয়া ছিলো সব কিছুর মধ্যেই, এমনকি অপরাধ ও অনেক......।
মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০১৫
হাপুস হুপুস
[http://pnachforon.blogspot.in/ এ ৭ই মে ২০১৫ তে প্রকাশিত]
- খামোখা ঝগড়া করলে। এত রাগ করতে আছে?
- খামোখা ঝগড়া করলে। এত রাগ করতে আছে?
- আমি তো ঝগড়া করিনি, বরং একটা ভালো কথা বোঝাতে
চেয়েছিলাম।
- ভারি তো বোঝানো হলো, মাঝখান থেকে রাগারাগি করে
খাওয়া ছেড়ে উঠে গেলে
- আমাকে এরকম করতে দেখেছো কখনো?
- তুমি এখন আর সেই ছোটোটি নেই, বড় হচ্ছো, গত মাসে ৯
পুরো করে ১০ এ পা দিয়েছ
- তাতে কি?
- বড় হলে বুঝদার হতে হয়।
- তা তুমি বুঝি খুব বুঝদার?
বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৫
দুনিয়া কাঁপানো ১ দিন
[http://pnachforon.blogspot.in/ এ ২২শে এপ্রিল ২০১৫ তে প্রকাশিত]
(পাঠকের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, লেখাটি পুরো পড়বেন। নয়ত পড়বেন না)
(পাঠকের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, লেখাটি পুরো পড়বেন। নয়ত পড়বেন না)
৩০শে এপ্রিল ১৮৮৬, শুক্রবার
----------------------
আনন্দ –
ü ৮ ঘন্টা কর্মদিবসের
দাবিতে ৪ঠা মে
শিকাগোতে বড় জমায়েতের ডাক দিলো মজদুর ইউনিয়ন।
ü হুমকি ধর্মঘটের,
নৈরাজ্যবাদী হামলার আশংকা মার্কিন সরকারের
ü দাবী অন্যায্য,
ধর্মঘট ক্ষতি করছে মার্কিন কর্মসংস্কৃতির – দাবী শিল্পপতি মহলের
মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৫
গোগ্রাস
[http://pnachforon.blogspot.in/ এ ১৪ই এপ্রিল ২০১৫ তে প্রকাশিত]
পুঁচকে বলে পুঁচকে? একদম এইটুকুনটি। কোলের ছেলে অস্কার। তা বাপ-মায়ের আর দোষ কি? ছেলের চাঁদপানা মুখটি দেখে বাবা বলে বসলেন ছেলে আমার বড় হয়ে অমুক হবে। ব্যাস। ক্ষুদে ছেলে গোঁসা করে ঠিক করল আর বড় হবে না। একটু গোঁয়ার হয় বটে জার্মানরা। তাও আবার যেমন তেমন শহরের জার্মান নাকি? এ হলো ডানৎসিগ (Danzig)। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির থেকে ছেঁটে নিয়ে যে শহরকে স্বাধীন বলে ঘোষনা করেছিল মিত্রপক্ষ সেই ডানৎসিগ। অস্কার আর বড় হয়নি। ওই তিন বছরেই আটকেছিলো। তিন বছরের জন্মদিনে বাবার দেওয়া একখানা টিনের ড্রাম পিটে পিটে তার যত ডানপিটেমো। টিন-ড্রাম উপন্যাসটি লিখেছেন গুন্টার গ্রাস। ছবিও হয়েছে এই উপন্যাস নিয়ে। অস্কারের মত গুন্টার গ্রাসের জন্মও ওই ডানৎসিগ শহরে।
পুঁচকে বলে পুঁচকে? একদম এইটুকুনটি। কোলের ছেলে অস্কার। তা বাপ-মায়ের আর দোষ কি? ছেলের চাঁদপানা মুখটি দেখে বাবা বলে বসলেন ছেলে আমার বড় হয়ে অমুক হবে। ব্যাস। ক্ষুদে ছেলে গোঁসা করে ঠিক করল আর বড় হবে না। একটু গোঁয়ার হয় বটে জার্মানরা। তাও আবার যেমন তেমন শহরের জার্মান নাকি? এ হলো ডানৎসিগ (Danzig)। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির থেকে ছেঁটে নিয়ে যে শহরকে স্বাধীন বলে ঘোষনা করেছিল মিত্রপক্ষ সেই ডানৎসিগ। অস্কার আর বড় হয়নি। ওই তিন বছরেই আটকেছিলো। তিন বছরের জন্মদিনে বাবার দেওয়া একখানা টিনের ড্রাম পিটে পিটে তার যত ডানপিটেমো। টিন-ড্রাম উপন্যাসটি লিখেছেন গুন্টার গ্রাস। ছবিও হয়েছে এই উপন্যাস নিয়ে। অস্কারের মত গুন্টার গ্রাসের জন্মও ওই ডানৎসিগ শহরে।
সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৫
ফুলমতি
[http://pnachforon.blogspot.in/ এ ৯ই এপ্রিল ২০১৫ তে প্রকাশিত]
আমার ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের সংখ্যা খুব একটা বেশী নয়। কিন্তু যে কটি আছে, তাদের প্রত্যেকটার একটা করে নাম আছে আলাদা আলাদা। কয়েকখানা নাম লোকজন জানে বটে, কিন্তু বেশীরভাগের নামই আমি বাদে দ্বিতীয় ব্যক্তির অজানা। এই যেমন ধরুন গিয়ে নিকুঞ্জবিহারি, সে হলো আমার ক্যামেরা। নিকষ কালো ক্যামেরার শরীরে লেখা রয়েছে নিকন। সেই দেখেই নাম দিয়েছি নিকুঞ্জবিহারি।
আমার ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের সংখ্যা খুব একটা বেশী নয়। কিন্তু যে কটি আছে, তাদের প্রত্যেকটার একটা করে নাম আছে আলাদা আলাদা। কয়েকখানা নাম লোকজন জানে বটে, কিন্তু বেশীরভাগের নামই আমি বাদে দ্বিতীয় ব্যক্তির অজানা। এই যেমন ধরুন গিয়ে নিকুঞ্জবিহারি, সে হলো আমার ক্যামেরা। নিকষ কালো ক্যামেরার শরীরে লেখা রয়েছে নিকন। সেই দেখেই নাম দিয়েছি নিকুঞ্জবিহারি।
মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০১৫
স্মৃতির সরণি বেয়ে মহাপ্রস্থানের পথে
[http://pnachforon.blogspot.in/ এ ২রা এপ্রিল ২০১৫ তে প্রকাশিত]
আমি লোকটা ঠিক প্রগতিশীল গোছের নই। বরং বেশ কিছুটা রক্ষনশীল আর গোঁড়া বলতে পারেন। পরিচিতজন জানেন, তাই আমি দু একখানা বামপন্থী বুকনি ছাড়লেই তাঁরা মুচকি হাসেন। আমি বাঙালি-গুজরাতি তে তফাত মানি। চিনেদের দেখলে তাদের নাক আমার চেয়ে কতটা চ্যাপ্টা আর সাহারার দক্ষিনের আফ্রিকান দেখলে আমি তার চেয়ে কতটা ফর্সা, মনে মনে সেই হিসেব কষি। আমি তীর্থস্থানে যাই, দুর্গা পূজো , সরস্বতী পূজোয় অঞ্জলী দিই মাঝে মধ্যে। ভোগ খেতে তো কোন কালেই ছাড়িনা, যে কোনো দেবতার, তা সে যত দুর্ভোগই হোক।
আমি লোকটা ঠিক প্রগতিশীল গোছের নই। বরং বেশ কিছুটা রক্ষনশীল আর গোঁড়া বলতে পারেন। পরিচিতজন জানেন, তাই আমি দু একখানা বামপন্থী বুকনি ছাড়লেই তাঁরা মুচকি হাসেন। আমি বাঙালি-গুজরাতি তে তফাত মানি। চিনেদের দেখলে তাদের নাক আমার চেয়ে কতটা চ্যাপ্টা আর সাহারার দক্ষিনের আফ্রিকান দেখলে আমি তার চেয়ে কতটা ফর্সা, মনে মনে সেই হিসেব কষি। আমি তীর্থস্থানে যাই, দুর্গা পূজো , সরস্বতী পূজোয় অঞ্জলী দিই মাঝে মধ্যে। ভোগ খেতে তো কোন কালেই ছাড়িনা, যে কোনো দেবতার, তা সে যত দুর্ভোগই হোক।
সোমবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
আলবার্ট স্পীয়ারের বিশ্বভ্রমন
রামনাথ বিশ্বাস, স্বেন
হেদিন, ইবন বতুতা, মার্কো পোলো কিম্বা মন্দার বোস। ভূপর্যটক অনেক রকমের হয়। পায়ে
হেঁটে, সাইকেলে, জাহাজে চড়ে, এমন কি হালে-কালে দুচার পিস কর্পোরেট কত্তাকে দেখেছি,
যাঁরা এরোপ্লেনের বিজনেস ক্লাসে চড়ে দুনিয়া ঘুরে চলেছেন। দুনিয়ার চতুর্দিকে চক্কর
মারতে মারতে বোধহয় দুনিয়ার সব কিছুই তাঁদের কাছে প্যাঁচালো লাগে । দেশে
দেশে অমিল আছে, আবার মিলও কম নয়। এই যেমন ধরুন গোটা ভারতবর্ষের রেল স্টেশনগুলোর
মধ্যে কেমন একটা মিল আছে মেজাজের আর চরিত্রের। পৃথিবীর সব বিমানবন্দরগুলোর
মধ্যে মিল যেন আরো বেশি। সবই কেমন এক রকম। এমন কি গন্ধ পর্যন্ত।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি
(
Atom
)