বাংলোটা
দিব্যি পছন্দ হলো। বহু পুরোনো আমলের বাড়ি হলেও যত্নআত্তির অভাব হয়নি বলেই, বাড়িটায়
জরার চিহ্ণ নেই কোথাও। অথচ প্রাক স্বাধীনতা আমলের সাহেবিয়ানা লেগে আছে বাড়িটার সারা
শরীরে। লাল ইঁটের রঙের কাঠামো, গোল গোল খিলেন। সাদা রঙের বর্ডার দেওয়া। সম্প্রতি রঙ
হয়েছে। বাংলোর সামনে গাড়ি বারান্দার নিচে গাড়িটা দাঁড় করিয়ে নামতেই নাকে ভেসে এলো একরাশ
সুগন্ধ। কোথাও কাছেপিঠে কোথাও জুঁইফুল ফুটেছে, আর এই নিঝুম সন্ধ্যের মুখে তার গন্ধ
ভুরভুর করছে। সেই কাকভোরে লখণৌ থেকে বেরোবার পর কেটে গেছে ঘন্টা বারো, আর এই মুহুর্তে
বিহারের লখিসরাইয়ের কাছে, মনকেমন করা সন্ধ্যে হুড়মুড় করে ছুটে চলা দিনের গতি রোধ করছে
আস্তে আস্তে।
জীবনে প্রথম অধ্যায়ের মত সাদাসিধে, নিয়মনিষ্ঠ, ছকে বাঁধা নয়। যা ইচ্ছে তাই... যাচ্ছেতাই, এই আমার দ্বিতীয় অধ্যায়।