রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

পদ্মপুকুরের পুঁটি ও আমাদের জুটি


তা সেই সোমবার ইশকুলে গেছি লাফাতে লাফাতে। বাবু মানির ছবি পকেটে করে নিয়ে গেছি। টিফিনের সময় বীরপূজো হবে। তখন আমি হাফ পেন্টুল। কিন্তু মোহনবাগান-ইষ্টবেঙ্গল-মহামেডান তো বটেই, এমন কি ফাগোয়াড়ার জেসিটি, জলন্ধরের বিএসএফ এমন কি ওরকে মিলস, সালগাওকার, মফৎলালের মত দলের প্রথম এগারোর নাম বলে দিতে পারি।
আমাদের ওখানে কলকাতা থেকে কাগজ পৌঁছুতে দুপুর গড়িয়ে যেত। ইশকুল থেকে এসে কাগজ উলটে সোজা শেষের পাতায় খেলার খবর। আর খেলা মানেই ফুটবল, আর ফুটবল মানেই গড়ের মাঠের গমক। মানু, রিয়াল, বার্সা এসব তখন কোথায়? বরং একটা দুটো স্থানীয় কেলাবের নাম স্যান্টোস হতে দেখেছি। তো লাফালাফি করলুম টিফিনের সময় খুব সে। আমি, খোকন, চাকু, গবু, বাপন, সুবু আরো সব যে গুলো ছিলো। কেবল পার্থ চৌধুরি আর ঘান্টু ঘাপটি মেরে মুখ গোমড়া করে বসে রইল। কেন যে মোহনবাগান না হয়ে ওরা দুজন ইষ্টবেঙ্গল হলো, বুঝিনা বাপু। চারটের সময় ঢংঢংঢংঢং করে ঘন্টা বাজতেই হইহই করে বেরোলুম। গতকাল লীগের খেলায় বাবু মানির গোলে মোহনবাগান হারিয়েছে ইষ্টবেঙ্গলকে। দৌড়ে দৌড়ে বাড়ি গিয়েই খবরের কাগজের প্রতিটা অক্ষর চুষে চুষে খেতে হবে। ইশকুল থেকে বেরিয়ে দেখি ঘান্টু একা একা নির্জন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। মাথাটা একদিকে হেলানো। হাতের বই খাতা গুলো কাঁধের ওপর রেখেছে। “অ ঘান্টু, তাড়াতাড়ি মাঠে আসিস কিন্তু”। ঘান্টু তাকিয়েও দেখলো না। টিপির টিপির পা ফেলে চলে গেল ওদের বাড়ি আশীষ নগর। টালির চালার বাড়ি সব। ওরা নাকি এখানের মানুষ না, অনেক দূর থেকে এসেছে। ঘান্টুর বড় ভাই আমার বাবাদের সঙ্গে কারখানায় কাজ করে। ওদের বাড়িতে অনেক লোক।


ঘান্টু এলোনা খেলতে মাঠে। সারা বিকেল বল পিটিয়ে আমাদের সম্মীলনি ক্রিড়াচক্রের ফুটবল টিম যখন দিনের শেষ ঘোষনা করল সন্ধ্যের মুখে, কেমন যেন একটা মনটা ভারি ভারি লাগল।আমাদের মাঠের পেছন দিয়ে পায়ে চলা কাঁচা রাস্তা চলে গেছে ধান খেতের আলের ওপর দিয়ে। কিলোমিটার দেড়েক গেলেই একটা বড় পুকুর। পুস্করিণীও বলা চলে। পুকুরে অসংখ্য পদ্মফুল ফুটে থাকত বলেই বোধহয় নাম ছিল পদ্মপুকুর। সুবু আমি আর খোকন চললুম ঘান্টুর খোঁজে। গিয়ে দেখি সে মক্কেল পুকুরের ধারে বসে আছে, হাতে ছিপ। ঘান্টু খুব ভাল মাছ ধরত। আমাদেরও শিখিয়েছিল। একটা ছোট্ট ছিপ দিয়ে মাছ ধরে ধরে একটা পদ্ম পাতায় রাখা হত। দিনের শেষে সেইটা মুড়ে পকেটে ঢুকিয়ে যে যার বাড়ি। ঘান্টু চুপ চাপ মাছ ধরছে। আমরা পাশে গিয়ে বসলুম। কি বলব বুঝতে পারছিনা। টিফিনে নাচানাচিটা বেশী হয়ে গেছে বুঝতে পারছি। শেষে আমাদের হ্যাংলাকাত্তিক সুবুই সমাধানটা করল। ওর পকেটে সব সময় কিছু না কিছু খাদ্যবস্তু থাকত। হাত ঢুকিয়ে চাট্টি কি যেন বের করে এনে ঘান্টুর হাতে দিয়ে বললে “চল একটু মিষ্টি মুখ করেনে, অনেক অভিমান করেছিস”। ঘান্টু হাতে নিলো, ওর হাতের তেলোয় গোটা সাত আট কাঁচা কষাটে দিশী খেজুর। তার আঁটিই সার। টান মেরে জলে ছুঁড়ে ফেলে বলল “ব্যাটা, সাধে কি আর মোহনবাগান? মিষ্টিমুখ করাতেও জানসনা। তবু ভাল দুই খান করলা আনস নাই।”। ব্যাস, লেগে গেল আবার শুম্ভ-নিশুম্ভ। তবে সেদিন একটু দেরি করে বাড়ি ঢুকে কানমলা খেতে খেতে পদ্মপাতায় মোড়া পুঁটিমাছ গুলো মাকে দিতেই, কানের প্যাঁচ হালকা হয়ে গেছিল। ঘান্টু পাতায় মুড়ে দিতে দিতে বলেছিল, রাতেই খেয়ে নিবি, একদম টাটকা তো, রেখে দিবিনা।
মাঝের কিছুদিন পরেই আবার খেলা। আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে আমাদের মুখোমুখি লাল হলুদ। তখন মহল্লায় একটাই টিভি, আর তার সামনে বসে পাড়ার যাবতীয় ছেলে বুড়ো। একটু অভিজ্ঞ যারা, তারা চিনিয়ে দিচ্ছে - কালো জার্সি আর সাদা পেন্টুল হল মোহনবাগান, আর সাদাকালো জার্সি – কালো প্যান্ট হলো ইষ্টবেঙ্গল। ওইভাবেই চিনতুম তখন। সাদাকালো টিভির যুগে। সে খেলায় ফল হলো হৃদয়বিদারক। ব্যাটা কার্তিক শেঠ ৪০ গজ দূর থেকে একটা উদ্ভট শটে গোল করে দিয়ে গেল। আমাদের প্রতাপ ঘোষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল। পরের সংখ্যার আনন্দমেলায় প্রতাপ ঘোষের গোল খাওয়ার ছবিটা বেরিয়েছিল। রাগে কুচি কুচি করে ছিঁড়েছিলুম সে পাতাটা। যাই হোক, আমাদের পাড়ার শংকর সান্যাল, মিলন চক্রবর্তী, চন্দন কাকু, দুলালকাকুরাও দেখি লাফালাফি লাগিয়েছে খেলার পর। মিলন কাকুর ভায়ের ছিল দর্জির দোকান, সেখান থেকে সন্ধ্যের মুখে লাল হলুদ কাপড় সেলাই করে ফ্ল্যাগ নিয়ে চলে এল ওরা আমাদের বাড়ি। ও তল্লাটে তখন ছবি আঁকাটাকা মানেই আমার বাবা। পতাকায় মশাল আঁকতে হবে। বাবা দেখলুম ফেব্রিকের শিশি আর তুলি নিয়ে বসে গেল। ওদিকে শংকর সান্যাল আমাকে ডাকছে। আমি তো যাবোইনা ওঘরে। দেখবোনা ওদের পতাকা। যাই হোক, পতাকা নিয়ে গিয়ে টাঙালো পাড়ার মোড়ে, আর আমি কথা বন্ধ করে বসে রইলুম। যত রাগ গিয়ে পড়ল বাবার ওপর। পরের দিন ইশকুলে গেছি, দেখি ঘান্টু মিটি মিটি হাসছে। চোরের মত বসে রইলুম টিফিন অবধি। হইচই যা হবার হল। তার পর দেখি একটা অ্যালুমিনিয়ামের গোল টিফিন কৌটো বের করে আমাদের ডাকছে। ঘান্টুর মা নাকি মিষ্টিমুখ করার জন্যে মুড়ির নাড়ু করে পাঠিয়েছে। খেয়ে দেখলুম। অতিশয় সুস্বাদু। “এইটা হইল মিষ্টিমুখ, বুঝলি?”। বুঝলুম। তার পর থেকে আজ এই এত বছর, বড় খেলায় জেতার পর মিষ্টিমুখের রেওয়াজটা বজায় রেখে চলেছি।

ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব, ও তার ফুটবল দল, আমার আপন না হতেপারে, কিন্তু তার নাড়িনক্ষত্র সেই ছোট্টবেলা থেকে আমার বিলক্ষন চেনা। কে কে কোন জায়গায় খেলছে, নতুন কে এলো, কে গেল। কোচ কর্মকর্তারা কি বললেন। সে আমলে ইষ্টবেঙ্গলে জীবন-পল্টুর দাপট। কাগজে লিখত জিপ। প্লেয়ার নিয়ে টানাটানির খবর নিয়ে কাগজ গুলো মাস খানেক বাজার গরম করে রাখত। ইষ্টবেঙ্গলে তখন একের পর এক বিদেশী আসছে। মজিদ, জামসেদ, ডেভিড উইলিয়ামস, চিমা, এমেকা, চিবুজার। কত বলব? শুধু কি বিদেশী? “আমাগো উলাগা”, হরজিন্দর সিং, ফ্রান্সিস ডি-সুজা, কুলজিত সব সমেত ইষ্টবেঙ্গল বরাবর কসমো। বরং ধীরেন বাবুর মোহনবাগান কিছুটা নাক উঁচু করে “আমরা বাঙালি” মনোভাব নিয়ে চলত। তবুও এদিকে জেভিয়ার পায়াস এমন কি “আমাগো উলাগা” ও খেলে গেছেন। কলেজে পড়তে ফুটবলটা এমন নেশা হয়ে দাঁড়ালো, যে শুধু মোহনবাগানের খেলা দেখে মন ভরত না। ধিরে ধিরে শুরু করলাম ইষ্টবেঙ্গল, মহামেডানের সব খেলা দেখা। ইষ্টবেঙ্গল মাঠে অনেক বছর অনেক খেলা দেখেছি। যুবভারতীতে লাল-হলুদ বনাম সাদা-কালোও দেখেছি অনেক। সেবার ইরাকের আল জাওরা খেলতে এলো। আমি আর বাবা খেলা দেখছি, তবে টিভিতে। বাবা বরাবর কম কথার মানুষ্ আর মার্কামারা মোহনবাগানী। খেলা যাই হোক, একটাও উল্টোপাল্টা শব্দ বা আবেগ বাইরে বেরোবেনা। বিপক্ষের গোলকিপার ভাল বাঁচালে হাততালিও দেবে। আমার অবশ্য এসব আসেটাসে না। যাই হোক। জাওরা গোল করল। বাবার মন্তব্য “ধুস”। কয়েক মিনিট বাদেই শোধ দিল ইষ্টবেঙ্গল। বাবার মুখে দেখি মৃদু হাসি। ইষ্টবেঙ্গল পর পর গোল করতে লাগল। বাবা প্রথমে “দারুন”, তার পর “দুর্দান্ত” চার নম্বর গোলের পর দেখি হাত তালি দিচ্ছে। পাঁচ নম্বরের পর হাত মুঠো, দাঁত চেপে বশে আছে। বিড় বিড় শুনলুম – “আধ ডজন ভরে দে ব্যাটাদের”। বাবার একটা অদ্ভুত স্বভাব দেখেছি। ইষ্টবেঙ্গল নিয়ে বাবা সবার সামনে মোটে ভাল কথা বলবেনা। কিন্তু গন্ডগোল শুরু হয়, অন্য কেউ (পড়ুন মোহনবাগান বা ইষ্টবেঙ্গল সমর্থক নন এমন কেউ) নিন্দেমন্দ করলে। জাতীয় লীগের কোন এক খেলায় বিরতীতে বাবা অগ্নীশর্মা – “নোভি কাপাডিয়া ফুটবলের কিস্যু বোঝেনা , ইষ্টবেঙ্গল আর বাংলার ফুটবল নিয়ে যা তা বলছে, এটাকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া উচিত”।

ইষ্টবেঙ্গল জাকুজি বসালো, তাঁবু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলো। অফিসে লোকজন আওয়াজ দিলো, মোহনবাগান তাঁবুতে আধুনিকিকরনের জন্য নাকি করোগেটেড টিন আনা হচ্ছে। লড়ে গেলুম এই বলে, যে পারলে মাঠেও এসি বসিয়ে ফেলো, নাহলে ননীর শরীর গলে যেতে পারে তোমাদের টিমের। কিন্তু ক্লাবে গিয়ে অঞ্জনদা কে বলতেও কসুর করিনি, আমাদেরও কিছু একটা করা দরকার এরকম। আধুনিক জিম, তাঁবুর আধুনিকিকরন, ভাল লকার রুম, ইষ্টবেঙ্গল এগুলো কিন্তু করে দেখিয়েছে। মোদ্দা কথা ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে আমার মত মোহনবাগানীর সম্পর্ক বড় অদ্ভুত। যেখানে ইষ্টবেঙ্গল নেই, সেখানেও সম্পর্ক খুঁজে খুঁজে বের করার চেষ্টা করাহয়। এই যেমন ধরুন গিয়ে ২০১৫ সালের আই লিগ জেতার ঠিক পরে কোন একটা চ্যানেলে গ্রাফিক অ্যানিমেশন দিয়ে আতসবাজি দেখানো হচ্ছিল। আমার এক মোহনবাগানী ভাই ফোন করে বলে কিনা, টিভি চ্যানেল নির্ঘাত ইষ্টবেঙ্গল সমর্থক, কারন আতসবাজি গুলোর রঙ লাল হলুদ। কিন্তু লক্ষ্য করুন, আনন্দের মধ্যেও তার অবচেতনে সেই প্রতিপক্ষ ঢুকে বসে আছে। প্রতিপক্ষ, হ্যাঁ প্রতিপক্ষ। শত্রুপক্ষ নয়। আমাদের মাঠের এক প্রবীন ক্লাবের সদস্য কয়েক বছর আগে সখেদে আমায় বলেছিলেন, বড় বড় পোস্টার লেগেছে কলকাতা জুড়ে, যেন মোহনবাগান ইষ্টবেঙ্গল যুদ্ধু হচ্ছে। আরে বাবা, শত্রুপক্ষ আর প্রতিপক্ষ দুটো আলাদা কথা, এইটুকু বাংলাও কি এরা বোঝেনা? পরে ভেবে দেখেছি। সত্যিই বোঝেনা অনেকে। আজকাল খবরের কাগজ পড়লে এটা আরো বেশী করে মনে হয়। কি বিশ্রি ভাবে শত্রুতা বাড়ানো হয়, শুধু রেশারেশী বাড়ানোর জন্যে, বিক্রি বাড়ানোর জন্যে। আমি অবশ্য নিছক দর্শক, তাও আবার মধ্যবয়স্ক মানুষ, কাজেই আমার মতামতের আর কতটুকু মূল্য বলুন? সাধারন সমর্থক যা চাইবেন তাই হবে।
  
এট্টু গাঁ-গেরামের দিকে ছোটোবেলা কেটেছে বলে কিনা জানিনা, সেই আশীর দশকে কলকাতা শহরের সব কিছুই কেমন যেন স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হত। কি সুন্দর দোতলা বাস, ফ্লাইওভার, লাল টুকটুকে রাইটার্স বিল্ডিং, ঝকঝকে বিবাদী বাগ, চকচকে গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল, টলটলে লাল দিঘি, তার পরেই রাজভবন আর আকাশবানী। জীবনে প্রথম বার স্বজ্ঞানে যখন আকাশবানী ভবন দেখি, তখন মনে হয়েছিল, তাহলে এই হলো সেই জায়গা, যেখান থেকে খেলার ধারাবিবরনী শুনতে পাই রেডিওতে।  আর যাদের খেলার বিবরনী শুনি, তারা আরো ওইপাশে, সাদা-কালো, লাল-হলুদ আর সবুজ-মেরুন। গরমের ছুটিতে বাড়ি কিম্বা মামারবাড়ি আসা, আর ছুটির শেষে আবার ফেরত যাওয়া। ছোটোবেলা থেকেই কুমার-মান্না-চুনি শুনে আসছি। আমার বড়মামার বিখ্যাত গল্প, যেখানে মান্নার ফ্রি-কিকে নাকি প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের বুড়ো আঙুল ভেঙে গিয়েছিল। এরকম গল্প প্রতিটি বাড়িতেই কিছুনা কিছু আছে। আমার নিজেরও আছে কিছু, যারা সেগুলো চার পাঁচবার করে শুনেছে, আমি মুখ খুললেই তারা আজকাল মুখ টিপে হাসে। কিন্তু আজকে এসব বলব বলে লিখতে বসিনি। গেল হপ্তায় কলকাতা লীগের খেলায় মোহনবাগান চার গোল খেল ইষ্টবেঙ্গলের কাছে। মন খারাপ করে সন্ধ্যেবেলায় একা একা বসে আছি। আজকাল বয়স বাড়ছে, মাথায় সাদা চুল আর মনে পুরোনো স্মৃতিও বাড়ছে। মন খারাপের সময়, মন খারাপের স্মৃতি বড্ড বেশী করে মনে আসে। বারান্দার বাইরে নিচে বাড়ির পাশের পুকুরের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে, অনেক অনেক বছর আগেকার কিছু স্মৃতি ভিড় করে এলো। খুব চাইছিলুম একটা তোবড়ানো অ্যালুমিনিয়ামের কৌটো খুলে একজন আদ্যন্ত ইষ্টবেঙ্গল সমর্থক আমাকে গুড় মুড়ির নাড়ু খাইয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে মধুরেন সমাপয়েৎ করবে বড় খেলার। “বড় খেলা” কথাটা এখন বাতিলের দলে। এখন লেখা হয় ডার্বি। পিৎজা-পাস্তা-বার্গারের ভিড়ে গুড়-মুড়ির নাড়ুও কবেই বাতিল হয়েছে।

তবু ইচ্ছে করে। তবু আশা করি। পদ্মপাতায় মুড়ে সারা বিকেল ধরে ধরা পুঁটি মাছ কেউ আমার পকেটে ভরে দেবে, আর আমাদের জুটিটা অক্ষয় হয়ে থেকেই যাবে। যাবেই

৩টি মন্তব্য:

  1. এরম একটা লেখা পড়তে গেলে কোনো দলে নাম লেখাতে হয় না, ভালোবাসা এমনিতেই চলে আসে৷ আমি যদিও সবুজ মেরুন তবুও এই লেখাকে ভালো বলতে এক মুহূর্ত ভাবতে হয় না। 😊

    উত্তরমুছুন
  2. এই লেখাটা কেন এতদিন পড়িনি?

    উত্তরমুছুন