বুধবার, ২৯ মে, ২০১৩

হবেনা শেষ। হতে দেওয়া হবে না।

[ রচনাকাল ২৯শে মে ২০১৩ - pnachforon.blogspot.com এ প্রকাশিত হয়েছে ]

সকালবেলা অফিস বেরোবার আগে একবার কাগজে চোখটা বোলাই। আমার আবার বড় সড় খবরে চোখ যায়না খুব একটা। বড় সড় বলতে, ওই যে, মুখ্যমন্ত্রি কাকে যেন বলেছেন হিম্মত থাকলে করে দেখান, ছত্তিসগড়ে এক গাদা কংগ্রেসি নেতার ওপরে মাওবাদীরা টারগেট প্র্যাকটিস করেছে, সচিন আর আইপিএল খেলবেনা, ওয়েন রুনির ছেলে হয়েছে ইত্যাদি প্রভৃতি। আমার নজর থাকে, একটু আড়ালে থাকা, কিঞ্চিত ছোট হরফের হেডিংওয়ালা খবর গুলোতে। মূলতঃ খেলার খবরই।
কোথায় যেন পড়েছিলাম যে সমস্ত মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি বেশি, তাঁরা সাধরনতঃ মনোনিবেশ করেন শিল্পে, সাহিত্যে, সঙ্গীতে। আর বাকি যারা, কম বুদ্ধির দলে (সংখ্যায় এনারাই বেশি), মাতামাতি করেন কিছু হুড়োহুড়ি মার্কা ব্যাপার স্যাপার নিয়ে। এবং এই হুড়োহুড়ি মার্কা ব্যাপার স্যাপারের একটা উদাহরনও দেওয়া হয়েছিলো – ফুটবল। বিশ্বাস করুন, নিজেকে বুদ্ধিহীনের দলে আবিস্কার করে যত না গ্লানি জমেছিলো, তার চেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম, যে পৃথিবীর সংখ্যাগুরু লোক, এই একটা গোলাকার বস্তু নিয়ে মাতামাতি করে, এবং আমিও তাদেরই দলে। ছোটবেলায় ফুটবল দেখতাম কেমন ঘোরলাগা চোখে। তেমন নির্দিষ্ট কোন খেলোয়াড় নয়, পুরো খেলাটাই কেমন যেন একটা রূপকথা মনে হতো। বড়হতে দেখলাম, ছোটবেলার বেশিরভাগ ভালোলাগাগুলো একে একে বিদায় হলো, কিন্তু ফুটবলের ঘোর আর কাটলোনা।
রুনির ছেলে, বেকহ্যামের উল্কি, মারাদোনার জামাই, বেকেনবাউয়ারের বিবাহবিচ্ছেদ, খবরের কাগজের ফুটবল সংক্রান্ত এই সব মুখরোচক খবরে আমার একেবারেই উৎসাহ নেই। আমার উৎসাহ ফুটবলে, ফুটবলারে নয়। আর আজকাল যেমন দেখি, বার্সিলোনা, ম্যাঞ্চেস্টার বা মিলান নিয়ে মাতামাতি, তার থেকে অনেক অনেক দূরে আমার ফুটবল এখনো ঘুরপাক খায় গড়ের মাঠে। সেই মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল বা মহামেডান স্পোর্টিং। আমার কাছে, একটা ফুটবল দলের তিনটে অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকতেই হবে। প্রথম খেলোয়াড় ও কোচ, দ্বিতীয় কর্মকর্তা ও তৃতীয় সমর্থকরা। আজকাল টাকা ঢেলে ভুঁইফোড় অনেক ক্লাব গজাচ্ছে। আমার কাছে এরা কখনোই ফুটবল দল নয়, কেননা এদের সমর্থক নেই। সমর্থক ছাড়া ফুটবল কিসের মশাই? আর আমার খারাপ লাগে ম্যাকডাওয়েল মোহনবাগান, বা কিংফিশার ইস্টবেঙ্গল শুনতে। কোনদিন শুনেছেন এমিরেটস্‌ আর্সেনাল, ইউনিসেফ বার্সিলোনা বা স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড লিভারপুল? এমিরেটস্‌ কি ম্যাকডাওয়েলের চেয়ে কম টাকা দেয়? তাহলে কেন আমাদের ক্লাবের নামের আগে ম্যাকডাওয়েল বা কিংফিশার বসবে?
এসব নিয়ে আলোচনা, কোর্ট-কাছারি কম হয়নি। আমার এখানে এসব নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছেও নেই, মুখও নেই। গঙ্গাপারের যে দলটাকে সমর্থন করি, গত দু বছর সেখানে ট্রফির নামগন্ধ নেই। ওয়াকওভার পাওয়া ট্রফিকে হিসেবে ধরিনা। গত মরশুমে একের পর এক পরাজয়। আমি বোধহয় আমার জীবনের প্রথম ২৫ বছরে মোহনবাগান কে মোট যতগুলো খেলায় হারতে দেখেছি, গত দু বছরে দলটা তার চেয়ে বেশি খেলায় হেরেছে। অথচ দেখুন, দলটা কিন্তু এত খারাপ নয়। বছরের শুরুতে দেখি এক জন কাউকে কোচ করা হয় অনেক ঢাক পিটিয়ে। বছরের মাঝামাঝি তাকে কুলোর বাতাস দিয়ে তাড়ানো হয়। আবার এক জন আসে, এবং আই-লিগের দ্বিতীয় পর্যায়ে খুব ভালো খেলার পরেও তাকে আবার তাড়ানো হয়। এই যে সুভাষ ভৌমিকের কোচিং পেয়ে এবারে চার্চিল ব্রাদার্স আই-লিগ ঘরে নিয়ে গেলো, এই সুভাষ ভৌমিককেও কিন্তু আমরা বাতিল করেছিলাম। সে সময়ে এনাকে কোচ রেখে দিলে, কি ক্ষতি বৃদ্ধি হত? ট্রফি বিহীন তো সেই থাকতেই হলো। গত বছর শেষে বাবলুদা এসে টিমটাকে তবু কিছুটা দাঁড় করালো। কিন্তু তাকেও সরিয়ে দেওয়া হলো। আমি কিন্তু কর্মকর্তাদের সমালোচনা করতে বসিনি। তাঁরা ক্লাবের অবিছেদ্য অংশ। তাঁরা না থাকলে ক্লাব থাকেনা। আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায়। প্রথমে একটু পেছিয়ে যাই।
তখন আমার বয়স ১২ কি ১৩। একদিন বিকেল বেলা বাবার হাত ধরে ক্লাবে ঢুকছি। কেমন যেন স্বপ্নের মত লাগত মোহনবাগান ক্লাব কে। ক্লাব ঘরের সামনে একটা চেয়ার পেতে এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক বসে আছেন সাদা ধুতি আর হাতা গোটানো সাদা সার্ট পরে। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা, পায়ে বিদ্যাসাগরি চটি। বাবাকে দেখে বললেন, নিয়ে যাও ভেতরে, ক্লাব দেখুক। মোহনবাগান কে চিনুক। আমার মাথায় হাত দিয়ে চুলগুলো একটু ঘেঁটে দিলেন সেই বৃদ্ধ। দরজা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে বাবা ফিসফিস করে বললেন, ওই বৃদ্ধ হলেন উমাপতি কুমার, সে সময় ক্লাবের সহ-সভাপতি। কেমন যেন টলে গেছিলাম কথাটা শুনে। ইনিই কুমার বাবু? সেই ভুবন বিখ্যাত ডিফেন্স চেরা থ্রু-পাশ বেরোত এনারই পা থেকে? বই পত্রে এনারই ছবি দেখেছি? পেছন ফিরলাম আবার, দেখলাম বৃদ্ধ আমাদের দিকে ফিরে আছেন। হাসলেন, বললেন দেখো ঘুরে ঘুরে, এখানে যা দেখবে, মনে রেখো, তোমরাই তো পরে ক্লাবকে ধরে রাখবে। সেবারে ক্লাবে ঘুরতে ঘুরতে এবং তার পরেও দেখেছি কর্মকর্তাদের। শৈলেন মান্না ছিলেন, ছিলেন চুনি গোস্বামী। ছিলেন ধীরেন দে সবার ওপরে ছাতার মত, মহীরুহের মত। এনাদের কথা পাড়লাম কেন? একটু ভেবে দেখুন তো, এনাদের ইতিহাস গুলো কি। এনারা প্রত্যেকেই খ্যাতনামা খেলোয়াড়। ধীরেন দে ফুটবল খেলেননি, কিন্তু মোহনবাগানের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন বহু বছর। মাঠের প্রতিটি ঘাস, খেলোয়াড়দের প্রতিটা ঘাম আর রক্তের ফোঁটাকে এনারা চিনতেন। এ ছাড়া ছিলেন বিরু চ্যাটার্জি, গজু বসু। কলকাতার আসেপাশে এবং দূর দুরান্তের গ্রাম ঘুরে খেলোয়াড় তুলে আনতেন এনারা। খেলা দেখে চিনতেন। জহুরির চোখ ছিলো। যদি আমার কথা বিশ্বাস না হয়, কখনো বিদেশ বসু বা সুরজিৎ সেনগুপ্তদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
মোদ্দা কথা হলো, মোহনবাগান চিরকাল ছিলো খেলোয়াড়দের ক্লাব। খেলোয়াড়রাই চালাতেন, খেলোয়াড়রাই দল তৈরি করতেন, এগিয়ে নিয়ে যেতেন। এটাই তো দস্তুর, আপনি ইয়োরোপে দেখুননা, উয়েফার সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হলেন মিশেল প্লাতিনি। জার্মান ফুটবলে শেষ কথা বলেন বেকেনবাউয়ার। আমাদের এখানে কেন সেটা হবেনা? মোহনবাগানে প্রাক্তন ফুটবলারের অভাব ঘটেছে? শিশির ঘোষ, সত্যজিত চ্যাটার্জি রা নেই? প্রদীপ চৌধুরি কোথায় গেলেন? অলক মুখার্জি দূরে সরে আছেন কেন? মানস – বিদেশ কই? তনুময় বসু, দেবাশিষ মুখার্জি, প্রতাপ ঘোষরা কই? চুনি গোস্বামী কেন আসেন না ক্লাবে? কিসের অভিমান? মোহনবাগানের ওপর অভিমান করে থাকতে পারবেন চুনি বাবু? প্রসূন ব্যানার্জি ভোটে লড়তে পারছেন, আর মোহনবাগানের বাঁচার ম্যাচটা খেলবেন না? বাবু মানি, উলগানাথন, আবদুল মজিদ কে কোনদিন জিজ্ঞেস করে দেখুন, ওনারা মোহনবাগানের নামে কি কি দিতে প্রস্তুত। শেষে আসছি চিরবিতর্কিত বাবলু ভট্‌চাজের কথায়। এই লোকটা কিন্তু পারে সব কিছু ঘোরাতে। আমি মন থেকে বিশ্বাস করি এটা। আমার চোখে সেই ছোটবেলা থেকে ও সুপারম্যান। হতে পারে ও ঝগড়ুটে, ও ঘোঁট পাকায়, ও নিজেকে ফোকাসে রাখতে চায়। কিন্তু আদ্যন্ত মোহনবাগানী এই লোকটা। শুধু এনারাই কেন? তথাকথিত ইস্টবেঙ্গলের লোক সুরজিৎ সেনগুপ্ত কে জিজ্ঞেস করে দেখুন না। নিজের এক মাসে মাইনে বাজি রেখে বলছি, সুরজিৎ সেনগুপ্ত আসবেন। আসবেন সমরেশ চৌধুরি, ভাস্কর গাঙ্গুলি, গৌতম সরকার, মইদুল ইসলাম। মোহনবাগান কোথাও না কোথাও বড্ড বেশী করে জড়িয়ে আছে এনাদের রক্তে। চার্চিলের কাছে মোহনবাগান ৩ গোল খেলে, এই তথাকথিত ইস্টবেঙ্গলের লোকগুলোও শান্তিতে ঘুমোতে পারেনা। যে দাপট, যে অহংকারের জন্ম এনারা দিয়ে গেছেন আমাদের ভেতরে, গোটা দেশের ফুটবলকে শাষন করে, তাতে করে এনারা চুপ থাকতে পারেন না। এই হার ওনাদেরও অহংবোধে ধাক্কা দেয়।
এ তো গেল একটা দিক। সমর্থকদের জন্যেও কয়েকটা কথা আছে। আমরা হারছি, মনে কষ্টও পাচ্ছি। কিন্তু সেটার প্রকাশ সঠিক ভাবে হচ্ছে না। ফেসবুক বা টুইটারে কিছু পোস্ট, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের সঙ্গে ঝগড়া, মাঠে আর না যাওয়া। নিজেদের কিছু আবদ্ধ জায়গায় দেবাশিষ দত্ত, অঞ্জন মিত্রদের ওপর ক্ষোভ উগরে দেওয়া, আর একজন দোষী খুঁজে চলা। কিন্তু এর বাইরে কি কিছু নেই? দায়িত্ব নেই কোন? ফিরিয়ে আনুন খেলোয়াড়দের। তুলেদিন ক্লাব ওনাদের হাতে। তাই বলে কর্মকর্তাদের তাড়িয়ে দেবার কথা একবারও বলিনি কিন্তু। খেলার দায়িত্বে থাকুন খেলোয়াড়রা। মাঠ, দল, কোচ এদের দায় নিন পুরোনো খেলোয়াড়দের কমিটি। এনাদের হাতে এক বছরের জন্য তুলে দেওয়া হোক দলকে। কর্মকর্তারা থাকুন পেছনে। এ বছর আর হবার নয়, কিন্তু সামনের বছরের জন্য এটা হোক। এখন থেকে প্রাক্তনীরা খেলোয়াড় বাছুন। ক্লাবের সঙ্গে থাকুন, টিমের হাল দেখুন। আর সামনের বছরের জন্য পরিকল্পনা করুন। কোচ তাড়াবেন না। অন্ততঃ আগামী পাঁচ বছর, সে করিম ই হোক বা অন্য কেউ। সমর্থকদের আরো বলি, হঠাৎ করে দিন বদলাবে না। ধৈর্য্য ধরতে শিখুন। এক দিনে ক্লাবটা তলায়নি। এক দিনে সব শুধরেও যাবেনা। প্রথমে কিছু ফলাফল আশা করা উচিত নয়। কেউ ম্যাজিক জানেন না। ক্লাবের পাশে থাকুন। সমালোচনা যেন ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে পড়ে। ফুটবল মাঠে সবাই পরিশীলিত আচরন করবেন, এটা কেউ আশা করেন না। কিন্তু তার মধ্যেও একটা সংযম আমাদের আনতেই হবে। অহেতুক চাপে ফেলা নয়, বরং পাশে থাকা। চিৎকার করে সমর্থন করা, গালাগাল দেওয়া নয়। আর জনমত গড়ে তোলা, যেন ক্লাবে প্রাক্তনীরা ফিরে আসেন। বর্তমান কর্মকর্তাদের বোঝান যে সবাই আমরা ক্লাবটার ভালোই চাই। পাড়ায় পাড়ায় মাইক নিয়ে ঘুরুন, পোস্টার সাঁটুন, ওয়েব সাইটে লিখুন। তবে হ্যাঁ, কিছু জঞ্জাল অবশ্যই আছে। ক্লাবের নাম করে নিজের আখের গোছানোর ধান্ধাবাজ লোক। এদের ক্ষমা করা উচিত নয়। এদের চিহ্নিত করতে হবে। আর লক্ষ্য রাখতে হবে দলকে সমর্থন করার নামে কেউ যেন মাঠে অশান্তি না করতে পারে।
মাঠে অশান্তি করা আটকাবার উপায় কি? যেখানে এক লাখ লোক, কে কাকে চেনে? কিন্তু এরও উপায় আছে। সমর্থকদের সংগঠন তৈরি হোক আরো। কয়েকটা আছে। আরো হোক। সবুজ মেরুন জার্সি পরে মাঠে আসুক “HOWRAH HOARDS, “BAGBAZAR BULLS”, “BEHALA BLASTERS” বা “MIGRANT MARINERS”। কিছু ব্লকের টিকিট এনাদের হাতে দেওয়া হোক, আর বাকিটার দায়িত্ব নিক পুলিস। ঠিক যে ভাবে ইংল্যান্ডে খেলা দেখেন দর্শক। মারকুটে খুনে ইংরেজ দর্শকদের কটা ইপিএলের খেলায় আপনি মারামারি করতে দেখেছেন? আস্তে আস্তে গোটা মাঠেরই দখল নিক সমর্থকদের সংগঠন। আর সেখানে গন্ডগোল ঘটলে সেই সংগঠনটি দায়ী থাকুক, ক্লাব নয়।
এবছর ক্লাবের দল তৈরি করার টাকা নেই। স্পনসর তো দরকার বটেই। কিন্তু তার চেয়েও বেশী দরকার নিজেদের পায়ে দাঁড়ানো। আমাদের কর্মকর্তারা চেষ্টা করলেই পারেন। জোট বাঁধুন না কোন বিদেশী ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে। এতবড় ফুটবলের বাজার কটা পাবেন? তবে ওই লেস্টার সিটি মার্কা জোট নয়। দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক তৈরি হোক। কি দিতে পারি আমরা? তার খতিয়ান নেওয়া হোক। প্রথমে হয়ত কিছুই না। কিন্তু আস্তে আস্তে দিতে পারবো নিশ্চই। সে চেষ্টা হোক। ফিফা তে আমাদের সভাপতির খাতির আছে। সেখানে গিয়ে দেখা হোক। ফিফা সব সময় ক্লাবের পাশে থেকেছে। ক্লাব ফুটবলই বাঁচিয়ে রেখেছে ফুটবলকে। আমাদের মোহনবাগান না থাকলে, কাল ইস্টবেঙ্গল মাঠে লোক হবে তো? স্পনসর টাকা দেবে তো? ইস্টবেঙ্গলের যে সব বন্ধুরা এতক্ষ্যন মুচকি হাসতে হাসতে পড়ছিলেন, এবারে ভেবে দেখুন। মহামেডানে প্রশাসন চলে গেছিলো খেলোয়াড়দের হাত থেকে সেই ষাঠের দশকে। আশীর শেষ থেকে মহামেডান তৃতীয় শক্তি থেকে একেবারে তলানিতে। মোহনবাগানে নব্বই এর শুরু থেকে আর খেলোয়াড়রা প্রশাসনে নেই। গত দশ বছরে কিন্তু ইস্টবেঙ্গলেও নেই। সিঁদুরে মেঘটা আমার লোটা বন্ধুরাও দেখুন। নয়তো মাচাদের দেখে হাসি, শেষে ফ্রেমে বাঁধিয়ে রজনীগন্ধার মালা দিতে হবে। আমি চাই, শুধু মোহনবাগান নয়, ইস্টবেঙ্গল ও ঘুরে দাঁড়াক। গত দশ বছর ও ক্লাবেও আই-লিগ ঢোকেনি। দুটো ফেডেরেশন কাপ আর তিনটে কলকাতা লিগ নিয়ে খুশি থাকতে মনেহয় আপনারাও পছন্দ করবেন না।
ছোট মুখে অনেক গুলো বড় কথা বলে ফেললাম। শুধু একটা বিশ্বাস থেকে। আমি জানি, কলকাতা ফুটবল মরবেনা। মোহনবাগান মরবেনা। থাকবে। এবং নিজের মত করেই থাকবে। সন্মানের সঙ্গে। মোহনবাগান হবেনা শেষ।  হতে দেওয়া হবে না।

১১টি মন্তব্য :

  1. Duraanto, sidhu eita jog kortaasi, Sports managmeent ekhon onno kono management er cheye kono ongshe kom noye, prakton player der to darkar nischoi shonge dorkaar besh kichhu durdaanto administrators, Retired IAS , Managment personnel from Large PSU jara ekhono khela ta ke bhalobashen egiye ashun na please amader club gulo ke bachaate.

    উত্তরমুছুন
  2. পুরোপুরি একমত। তাই আমি বলতে চেয়েছি, কর্মকর্তারা থাকুন। কিন্তু একটু পেছনে। দল গঠন, খেলোয়াড় নির্বাচন, এসব ব্যাপারে তাঁরা বেশি নাক না গলানোই ভালো।

    আর আশা করবো কিছু খেলা ভালোবাসেন এমন মানুষ, যাঁদের পরিচালন দক্ষতা আছে, তাঁরা মাঠে আসুন। ইস্টবেঙ্গলের কল্যান দা কিন্তু এরকমই একজন মানুষ, এবং যে যাই বলুক, উনি কিন্তু ভালো করছেন।

    উত্তরমুছুন
  3. Osadharon Somnath Da...aei kichu din agey aei ek bhalobasha r dhoirjyo ebong support er kotha ami facebook a Mohun bagan page a likhechilam...kichu oslil montyobbo chara beshi kichu praapyo nei but amaro ek e boktyobbo..Mohun Bagan er saathe chilam achi and thakbo...shomolochona amra shobai kori..ami tumi shobai but ekhon ekta jinish er e proyojon..club er paashe darai amra shobai sheita aro proyojon....Joy Mohun Bagan :)

    উত্তরমুছুন
  4. Jeta shob theke boro problem sheta holo amra nisshartho bhabe kono kaaj korte chaina. Jodi kortam tahole amader club gulo aaj taka chaite abedon kortona, nijerai ditam. Amra FB te baatela prochur marbo kintu constructive kichhu nijera korbona. Mohun Bagan e ex-footballer nei karon taader shoriyechhe club officials rai. Bablu protyekdin club official der gali diye ei kichhudin aagei dekhlam heshe taader shonge haat melachhe. O nijei bohurupi. Aar East Bengal er kotha bolchhen ? 10 bochhor I-League nei, hok kotha, kintu Mohun Bagan er moton erokom ulto palta decision o bodhoi newa hoyna, atleast ekta chesta achhe. Konodin bodhoi East Bengal tent e jaan ni, gele dekhte parten era club taake ki kore tulechhe. Infrastructure wise East Bengal ekhon Indiar modhye one of the best, if not the best. Ekta team ke bochhorer por bochhor dhore rakhar chesta korchhe. Player der payment er modhye ekta rationality maintain korar chesta korchhe, sheta aage Mohun Bagan koruk. Ei season jeta shesh holo, taar majher thekei anek player ke takar lobh dekhiye bhorkano shuru hoye gechhilo ebong Penn, Sanju, Naoba ebong aaro anekke shei eki jinish kora hochhilo jeta Tolgey ke kora hoyechhilo. Ei Sarada kando ti na ghotle etokkhone era shob Mohun Baganei naam lekhato. Chit fund cheat fund e porinoto hotei balloon fete gelo ar ekhon 93 lakh er player ke 35, 80 lakher player ke 25 lakh offer kora hochhe. Keno ? Ke bolechhilo eder daam 2-3-4 times barate ? Aaj bipode pore pact korte aschhe je amra apnader theke player nebona aar apnarao amader player der dike haat baraben na. Ki guarantee achhe je kaal Sudipta Sen er moton aar ekta Gouri Sen peye gele Mohun Bagan abar bhol paltabena ? Anyways, jhogra korte ashini. Apni thiki bolechhen, ghunte pore gobor hashe. Amra 10 bochhor I-League paai ni kintu Fed Cup, Kolkata League peyechhi aar AFC teo shesh 16 te uthechhi. Hoito next year aaro kichhu paabo, pabar asha rakhtei pari, sheta bodhoi apnara parenna. Jeta duto cluberi dorkar, sheta ex-player noi, sheta holo ekta corporate culture, ekta professional culture jara thik jaigai thik lok ke rakhbe, shekhane player bachhar jonyo jodi ex-player der laage, tahole shetai tara korbe kintu aaj jaara majhe majhei hatir paanch paa dekhe, taader ontoto shidhe korbe. Jotodin sheta na hochhe aar jotodin apnader club e kono change na hochhe, management e, totodin apnader kono asha nei. Yes, amra I-League e hoito atleast prothom 2-3 er modhyei abar thakboi kintu apnara thakben na

    উত্তরমুছুন
  5. আপনি লেখাটা পুরো পড়েছেন তো?

    আপনার সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে আমার আলাপ নেই। তাই আপনার পক্ষে জানা সম্ভব নয়, যে কলকাতার কোন কোন ক্লাবে আমার যাতায়াত আছে। গত ২৫ বছর কলকাতা ময়দানের সঙ্গে জড়িত থাকার সুবাদে, বহু ক্লাবেই যাতায়াতের সৌভাগ্য হয়েছে। যদি ঝকঝকে ক্লাবঘর মাপকাঠি হয়, তাহলে বলবো কলকাতার সেরা ক্লাব সিসিএফসি। চকচকে ক্লাব ঘর দেখে লাফালাফিটা ঠিক পোষায় না। ওটা লোটারাই করুক।

    বাবলুদার সঙ্গে কর্মকর্তাদের ভালোবাসা ও ঘৃনার সম্পর্ক কে না জানে? কিন্তু যেটা বলতে চেয়েছি, সেটা হল, ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আসবে?

    ছ বছর মোহনবাগানের সরকারি ওয়েবসাইট চালিয়েছি। কোন লা রকম সাহায্য ছাড়াই। কিছু পাবার আসা করিনি। যেদিন টাকা পয়সার কথা এসেছে, আমি ছেড়ে দিয়েছি।
    যদি কিছু এসেই না যাবে আমার, তাহলে নিজের ব্লগে এসব লিখতে গেলাম কেন?

    আপনার যন্ত্রনার প্রতি আমি সহানুভুতিশীল। কিন্তু হতাশাকে ব্যক্তিগত আক্রমনে পরিনত করবেন না। আবার ও বলি, "রহু ধৈর্য্যং , রহু ধৈর্য্যং"। এটা মোহনবাগান। খারাপ সময় ঠিকই কাটিয়ে উঠবে আমাদের ক্লাব। আর তাতে আপনার মত মানুষের পাশে থাকাটা জরুরী।

    উত্তরমুছুন
  6. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  7. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  8. যা লিখছেন, তাকে স্বীকার করলে ভালো লাগবে। লিখে, মুছে দেওয়া কেন? মতের ভিন্নতা তো বৈচিত্রকেই সমৃদ্ধ করে। না হয় লিখেছেন দুটো কথা, ভিন্ন মতে। তা আমার ব্লগকেই সমৃদ্ধ করবে। মন্তব্য করতে থাকুন। ভালো লাগবে।

    আপনাদের অনুরোধ করবো, আমার এই ব্লগে আরো অনেক লেখা রয়েছে। খেলা সম্পর্কে নয়। সেগুলো পড়ে দেখতে পারেন।

    উত্তরমুছুন