রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯

তিন সেদ্ধ, এক দম


আজ্ঞে সেই ইংরেজের ফেরেব্বাজির ফেরে যদি নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের কলকাতায় আগমন, আর তার পর কলকাতার বিরিয়ানিতে আলুর কিস্যা লিখতে বসি, তাহলে আপনি এ লেখা মোটেও পড়বেন না। কেননা সামাজিক মাধ্যমের কল্যানে ইউটিউব বা অন্যান্য জায়গায় এই নিয়ে হাজার হাজার ভিডিও আছে, এবং আপনি সে গুলো দেখে দেখে গোটা ব্যাপারটা নিশ্চিতভাবে মুখস্তই করে ফেলেছেন। কাজেই, ও নিয়ে আমি আর একটি কথাও বলছিনা। বলব অন্য কথা। এই আমাদের বিরিয়ানির কথা, যাকে, বাইরের লোকে কলকাতা বিরিয়ানি নামে চিনতে শিখেছেন , এবং যা দেখতে একদম এই নিচের ছবির মত।

বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ভূপর্যটক

- মানে আমি আসলে আমি নই?
- আপনি নিশ্চই আপনি, কিন্তু আপনার স্মৃতিগুলো আপনার নয় মিস্টার মুখার্জী
- মুখার্জী? আমার নাম জগবন্ধু নস্কর, তিনের আট হরি মিত্তির লেন ক...
- ওই যে বললাম মিস্টার মুখার্জী, এই স্মৃতিগুলো আপনার নয়
- আমার নয়? কি বলছেন আপনি ডাক্তারবাবু...আমি যে পস্টো...
- স্পষ্ট মনে করতে তো পারবেনই। মেমরি ইমপ্ল্যান্টেশন করলে সেই সব স্মৃতি আগের চেয়ে অনেক বেশী তাজা হয়ে যায়
- আমার ছেলে,  ছেলের বউ, নাতি... আহা, বড় আদরের নাতি মশায়...
- হ্যাঁ আপনার মেমরি সেই ভাবেই ডিজাইন করা হয়েছিলো মুখার্জীবাবু

শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৯

বাগিনীর পিঠে

জলে আমার বিলক্ষন ভয়। জলে পড়লে এক্কেবারে পাথরবাটি। একমাত্র ভরসা ঘাড়ের ওপর ফাঁপা ব্রেনবাকসো। তাইতে ঘিলুর জায়গায় প্রভূতপরিমানে বায়ু ভর্তি করে দিয়েছিলেন সৃষ্টিকর্তা, ফলে সে খানা হয়ত রবারের টিউব বা লাইফ জ্যাকেট হয়ে আমাকে ভাসিয়ে রাখার একটা মরিয়া চেষ্টা করতে পারে। কাজেই নুলিয়া , মাঝি-মাল্লা, নিদেন পক্ষে সাঁতারজানা লোকজন আমার বড়ই পছন্দের। মানুষের সুবুদ্ধি হয়, কুবুদ্ধি হয়, আরো অনেক রকম বুদ্ধিই হয়ত হয়। কিন্তু আমি যে দলের মানুষ, সেখানে এসব হয় না। কারন সুবুদ্ধি বা কুবুদ্ধি যাই বলুন, সেটা হতে গেলে ঘটে সামান্য বুদ্ধির দরকার, সেখানেই তো বিশাল ঘাটতি। ভয় পেতে গেলে, আগে ভয়ের কারনটা ভেবে বের করতে হয়। যার এসবের বালাই নেই, সে নির্ভয়। তাই ২০১৭ সালের অক্টোবর নাগাদ যখন প্রথম কথাটা উঠলো, আমি দুম করে বলে দিলুম লোকজন হিমালয়ে গেলে আমি আছি। তা থাকতে আমার অসুবিধে নেই। আগেও থেকেছি অনেক। কিন্তু বলে ফেলার কদিন পর অনুর্ধ ১৭ বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম জার্মানির খেলা দেখতে গিয়ে সিঁড়ি ভেঙ্গে যুবভারতীর মাঝের টায়ারে উঠবার সময় সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে, আর প্রবল বেগে হাপরের মত হাঁপাতে হাঁপাতে খেয়াল হলো, কি নিদারুন বিপদের মধ্যে নিজেকে নিয়ে গিয়ে ফেলতে চলেছি। খুলে কই।